অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সর্ববৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদিআরব ৩ এপ্রিলে হঠাৎ করেই ঘোষণা দিয়েছে মে ২০২৩ থেকে এ বছরের শেষ নাগাদ স্বেচ্ছায় তেল উৎপাদন কমিয়ে দেবে। তেল উৎপাদনকারী ৯টি দেশের সংস্থা ওপেক-প্লাসের বৈঠকের ঠিক ১ দিন আগে সৌদিআরব ওই ঘোষণা দেয়। ওপেকভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রীদের তদারকি বৈঠকের ১দিন আগে সৌদিআরবের পক্ষ থেকে এ ধরনের ঘোষণা ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। ওপেক প্লাসভুক্ত ৯টি দেশ হলো: সৌদিআরব, ইরাক, আমিরাত, কুয়েত, কাজাখস্তান, আলজেরিয়া, ওমান এবং রাশিয়া।
আতিথেয়তা আর বন্ধুত্বের বিনিময়ে সৌদিআরব স্বল্পমূল্যে তেল সরবরাহ করেছে আমেরিকাকে। পক্ষান্তরে আমেরিকা তাদের দেশকে নিরাপত্তা এবং অস্ত্র দিয়েছে। বন্ধুত্বের এই বিনিময় “নিরাপত্তার জন্য তেল” নামে পারিভাষিক রূপ লাভ করেছে।
আমেরিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা লিখেছে: সৌদি-আরবের ব্যাপারে মার্কিন নীতি ব্যর্থ হয়েছে। ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট নামক ওই মার্কিন পত্রিকাটি লিখেছে: সৌদি আরবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিনিময়ে তেল পাওয়ার মার্কিন নীতি ব্যর্থ হয়েছে।
ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট আরও লিখেছে, প্রায় ২৫ বছর ধরে আমেরিকার সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্থিতিশীল ছিল।
ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট আরও লিখেছে, আমেরিকার দরকার স্বল্প দামে তেল। তা না হলে মার্কিন অর্থনীতি স্থবির হয়ে যাবে। তেলের উচ্চমূল্য সংরক্ষণের ব্যাপারে সৌদিআরবের সরাসরি ভূমিকা রয়েছে।
পত্রিকাটি আরও লিখেছে: তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ঘটনাও প্রমাণ করে ওয়াশিংটনের নীতি ব্যর্থ হয়েছে।
Leave a Reply